কথা শুরু হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা থেকে। নেপালিদের জন্য রেটটা একটু বেশি। বাকিদের জন্য অতটা নয়। আর বাঙালি হলে আট থেকে দশ হাজারেই রফা হয়ে যাবে! এতেই রাজি হয়েছিল সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা এক ছাত্রী। চোখে স্বপ্ন নিয়ে সেই নবীন প্রাণ এসেছিল শিলিগুড়ি কলেজে। ওই ছাত্রীকে ভর্তি করাতে ‘দ্বায়িত্ব’ নেয় কলেজের ‘দাদা’রাও। শুরু হয় দর কষাকষি। শেষমেষ আট হাজার টাকায় রফা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্ত মেধাবী ছাত্রী জানিয়ে দেয়, টাকা দিয়ে ভর্তি হবে না। এরপর ‘দাদা’রা পিছু হঠে। তবে তারা জানায়, তাদের একটা দাবি মেটাতেই হবে ওই ছাত্রীকে।
কী দাবি?
নবীনবরণের দিন ‘এক পেটি বিয়ার’ চাই! এসব শোনার পর শিলিগুড়ি কলেজে আর ভর্তিই হয়নি সেই ছাত্রী।
যেখানে সারা রাজ্য কলেজ ভর্তি নিয়ে তোলপাড়, মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে অবস্থা খতিয়ে দেখছেন, সেখানে কী করে দালাল রাজ চলছে শিলিগুড়ি কলেজে? এই প্রশ্নই উঠছে বারেবারে।
নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও রোখা যাচ্ছে না বহিরাগতদের প্রবেশ। দশ-বিশ হাজার টাকা তেমন কিছুই না, এই দালাল চক্র ষাট-সত্তর হাজার টাকাতেও ভর্তি করাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও সামনাসামনি মুখ খুলছে না কেউই। এই পরিস্থিতিতে ওই ছাত্রী সাহস করে আসল ছবিটা সামনে আনল।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজের সাধারণ সম্পাদক সম্পূর্ণ। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি কলেজে এসব হয় না, স্বচ্ছতার সঙ্গেই কাজ করছি আমরা”।
এদিকে শিলিগুড়ি কলেজের প্রিন্সিপাল সুজয় ঘোষ জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে, এমন কিছু ঘটে থাকলে তা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।-জিনিউজ